দুটি কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা
নিচের এই পোষ্টটি পড়ে আপনি যে যে বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবেন:
১. কিভাবে দুটি পিসির মধ্যে সফটওয়্যার ছাড়া নেটওয়ার্ক তৈরী করা যায়?
২. ইথারনেট ক্যাবল কি?
৩. ক্রসওভার (CROSSOVER CABLE) ক্যাবল কি? কিভাবে তৈরী করা হয়?
৪. কিভাবে আইপি এড্রেস সেট করতে হয়।
৫. কিভাবে প্রিন্টার শেয়ার করতে হয়। অর্থাৎ একটি প্রিন্টার দিয়ে একের অধিক কম্পিউটার থেকে কিভাবে প্রিন্ট করা যায়।
৬. কিভাবে পুরাতন কম্পিউটারের সকল ডাটা নতুন কম্পিউটারে শিফট করবেন।
৭. কিভাবে পেনড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ ছাড়াই শুধুমাত্র একটি ক্যাবল এর মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে গান, ভিডিও সহ যেকোন ফাইল আদান-প্রদান করবেন।
আমরা অনেকেই নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কেনার পর পুরাতন হোম পিসি থেকে ছবি, গান, ভিডিও ইত্যাদি ফাইল সমুহ ট্রান্সফার করার জন্য সাধারনত পেন ড্রাইভ, পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ বা ডিভিডিতে বার্ন করে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকি। এটি একটি খুবই সিম্পল কপি-পেষ্ট এর কাজ এবং আমি মনে করি না এর জন্য আমাদের এত সময়, পেন ড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ কেনার জন্য টাকা খরচ করার কোন দরকার আছে। একটি অতি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে খুবই সহজে এই দুই কম্পিউটার এর মধ্যে ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক গেমস ইত্যাদি শেয়ার করা যায়। আজকাল শেয়ার শব্দটি ইন্টারনেট জগতে সবারই খুব পরিচিত একটি শব্দ। তাহলে কেন নিজের কম্পিউটারে এই শেয়ার শব্দটি ব্যবহার করবো না????
নিচে আমি যে পদ্ধতি দেখাবো তার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দুটি পিসির মধ্যে ডাটা শেয়ারিং করতে পারবেন। আমার দেখানো এই নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে আপনি ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট, গেমস ইত্যাদি শেয়ার করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনার কোন হাব, সুইচ বা রাউটার এর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র একটি ক্রসওভার ক্যাবল হলেই চলবে।
খেয়াল করুন, আপনি এর মাধ্যমে দুটি ডেক্সটপ/ল্যাপটপ বা একটি ল্যাপটপ ও একটি ডেক্সটপ এর মধ্যে ডাটা শেয়ারিং তৈরী করতে পারবেন যদিও তাতে একই অপারেটিং বা ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা থাকলেও, ফাইল শেয়ারিং করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্কুল কলেজে যে রকম পড়ে এসেছেন যে, রসায়ন বিদ্যা বা পদার্থ বিদ্যা এর কোন পরীক্ষা করার সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দরকার হয়। তেমনি এই পোষ্টটি যদি কার্যকরণ করতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি দরকার হবে।
১. দুইটি কম্পিউটার – হতে পারে তা দুটি ডেক্সটপ / দুটি ল্যাপটপ / একটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ ।
২. একটি ইথারনেট ক্রসওভার কেবল: ক্রস ওভার ক্যাবল, দুটি পিসি কে হাব, সুইচ বা রাউটার ব্যতিত সরাসরি সংযোগ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। একটু খেয়াল করুন, সাধারনত ইথারনেট ক্যাবল গুলোর (যাকে আমরা ল্যান ক্যাবল ও বলে থাকি) দুটি মাথায়, তার গুলো একই ভাবে সাজানো থাকে অর্থাৎ তাদের দুটি মাথায়ই তারের রং গুলি মিল থাকে। নিচের ছবিতে দেখানো তারের নম্বর এর দিকে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
কিন্তু ক্রসওভার কেবলে সর্বমোট তার থাকবে চারটি যার প্রথম এবং তৃতীয় তার ( বা দিক হতে ডানদিকে গুনে ) এবং দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ নং তার ক্রস করা থাকে। অর্থাৎ এর এক মাথার প্রথম তার অপর মাথার তৃতীয় তারে সংযুক্তি হবে এবং অপর মাথার প্রথম তার এই মাথার তৃতীয় তারের সাথে সংযুক্তি হবে। ছবিটি খেয়াল করুন । নম্বর দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দেখাতে চেষ্টা করেছি।
কোথায় পাবেন: যেকোন কম্পিউটার এর দোকানে গিয়ে বলবেন যে, আমাকে এক বা দু মিটার ক্রসওভার ইথারনেট ক্যাবল দিন বা বানিয়ে দিন যাতে আমি দুটি পিসির মধ্যে কোন সুইচ, হাব বা রাউটার বাদেই ডাটা শেয়ার করতে পারি। তারা সেই ক্যাবল বানিয়ে দিলে, আপনি হাতে নিয়ে তারের লেআউট দেখলেই বুঝতে পারবেন, যা আমি উপরে ছবি সহ বলেছি। দারুন তাই না !
৩. নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার: দুটি পিসিতেই নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার থাকতে হবে। বর্তমানের কম্পিউটার গুলোর মাদারবোর্ডে বিল্টইন নেটওয়ার্ক কার্ড থাকে। তাই যাদের আছে তাদের আর আলাদা নেটওয়ার্ক কার্ড কিনতে হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাদারবোর্ডের সিডি বা নেটওয়ার্ক কার্ডের ড্রাইভার পিসিতে সঠিক ভাবে ইন্সটল করা থাকে।
কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন:
এটি একটি বড় পোষ্ট। আমি বিস্তারিত ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। যাতে যেকেহ আমার পোষ্ট পড়ে খুব সহজেই বিষয়গুলো বুঝতে পারে। আপনার হতে যদি পড়ার মত প্রয়োজনীয় সময় না থাকে, তাহলে পরে, সময় নিয়ে পড়ুন।
আবার পোষ্ট এর বিষয়ে ফিরে আসি। কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন এটাই হলো আসল কাজ। শুনতে সহজ মনে হলেও দুটি পিসিতে এই সংযোগ তৈরী করা কিন্তু এত সহজ নয়। এর জন্য দুটি পিসিতেই আইপি কনফিগারেশনের একটা ব্যাপার আছে। তো চলুন দেখি নিচের পদ্ধতি অনুসরন করে, কিভাবে দুটি পিসি একে অপরের সাথে কথা বলাতে পারবো….
১. দুটি পিসির ইথারনেট পোর্টে ক্রসওভার ক্যাবল এর এক মাথা করে প্লাগইন করার মাধ্যমে সংযুক্ত করুন। ছবি দেখুন:
প্রথম কম্পিউটার
দ্বিতীয় কম্পিউটার
২. এখন দুটি পিসির নেটওয়ার্ক সেটআপ করবো। এক্সপিতে Start > Connect to > Show all connection এ গিয়ে Local area connection এ মাউস এর রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ যান।
এখন Internet protocol (TCP/IP) তে ডাবল ক্লিক করুন। এর প্রোপার্টিজ আসবে। General ট্যাবের অন্তর্ভুক্ত Use the following IP address: এ ক্লিক করুন। তারপর IP address এর যায়গায় 192.168.1.1 ( 192.168.1.2 দ্বিতীয় পিসির জন্য ) লিখুন। এখন Subnet mask এর ঘরে 25.255.255.0 ( দুটি পিসির জন্য একই ) বসান। এরপর Default gateway এর ঘরে অপর পিসির আইপি এড্রেস বসান। এর পর Ok প্রেস করুন।
উইন্ডোস সেভেনে আইপি এড্রেস পরিবর্তন করার জন্য ক্লিক করুন Start->Connect to->View network computers and devices->Network and sharing center. Select Manage Network Connections, press properties button under Local Area Connection. Select Internet Protocol version4(TCP/Ip4) and press properties button. এখন The internet Protocol (TCP/IP) এর প্রোপার্টিজ এর ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে উপরের দেখানো এক্সপি এর নিয়মে আইপি এড্রেস লিখুন। ছবি দেখুন:
একটু সহজ করে দেই । প্রথম পিসির আইপি এড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.1
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.2 (এটা ২য় কম্পিউটারের IP Address)
দ্বিতীয় পিসির আইপি এ্যাড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.2
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.1 (এটা প্রথম কম্পিউটারের IP Address)
৩. এখন লোকাল নেটওয়ার্কের জন্য একটি ওয়ার্ক গ্রুপ তৈরী করবো। my computer এ মাউসের রাইট ক্লিক করুন। এখন properties সিলেক্ট করুন। দেখুন সেখানে Computer Name নামে একটি ট্যাব আছে। সেখান হতে কম্পিউটারের নাম ও ওয়ার্কগ্রুপের নাম পরিবর্তন করুন। ( নোট: কম্পিউটারের নাম দুই পিসির জন্য আলাদা আলাদা দিতে হবে কিন্তু ওয়ার্কগ্রুপের নাম দুটি পিসিতেই একদম একই দিতে হবে । )
৪. Ok প্রেস করুন এবং দুটি পিসিই রিস্টার্ট দিন।
১. কিভাবে দুটি পিসির মধ্যে সফটওয়্যার ছাড়া নেটওয়ার্ক তৈরী করা যায়?
২. ইথারনেট ক্যাবল কি?
৩. ক্রসওভার (CROSSOVER CABLE) ক্যাবল কি? কিভাবে তৈরী করা হয়?
৪. কিভাবে আইপি এড্রেস সেট করতে হয়।
৫. কিভাবে প্রিন্টার শেয়ার করতে হয়। অর্থাৎ একটি প্রিন্টার দিয়ে একের অধিক কম্পিউটার থেকে কিভাবে প্রিন্ট করা যায়।
৬. কিভাবে পুরাতন কম্পিউটারের সকল ডাটা নতুন কম্পিউটারে শিফট করবেন।
৭. কিভাবে পেনড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ড ড্রাইভ ছাড়াই শুধুমাত্র একটি ক্যাবল এর মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে গান, ভিডিও সহ যেকোন ফাইল আদান-প্রদান করবেন।
আমরা অনেকেই নতুন পিসি বা ল্যাপটপ কেনার পর পুরাতন হোম পিসি থেকে ছবি, গান, ভিডিও ইত্যাদি ফাইল সমুহ ট্রান্সফার করার জন্য সাধারনত পেন ড্রাইভ, পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ বা ডিভিডিতে বার্ন করে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকি। এটি একটি খুবই সিম্পল কপি-পেষ্ট এর কাজ এবং আমি মনে করি না এর জন্য আমাদের এত সময়, পেন ড্রাইভ বা পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ কেনার জন্য টাকা খরচ করার কোন দরকার আছে। একটি অতি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি আছে যার মাধ্যমে খুবই সহজে এই দুই কম্পিউটার এর মধ্যে ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট এবং নেটওয়ার্ক গেমস ইত্যাদি শেয়ার করা যায়। আজকাল শেয়ার শব্দটি ইন্টারনেট জগতে সবারই খুব পরিচিত একটি শব্দ। তাহলে কেন নিজের কম্পিউটারে এই শেয়ার শব্দটি ব্যবহার করবো না????
নিচে আমি যে পদ্ধতি দেখাবো তার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই দুটি পিসির মধ্যে ডাটা শেয়ারিং করতে পারবেন। আমার দেখানো এই নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে আপনি ডাটা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট, গেমস ইত্যাদি শেয়ার করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে আপনার কোন হাব, সুইচ বা রাউটার এর প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র একটি ক্রসওভার ক্যাবল হলেই চলবে।
খেয়াল করুন, আপনি এর মাধ্যমে দুটি ডেক্সটপ/ল্যাপটপ বা একটি ল্যাপটপ ও একটি ডেক্সটপ এর মধ্যে ডাটা শেয়ারিং তৈরী করতে পারবেন যদিও তাতে একই অপারেটিং বা ভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা থাকলেও, ফাইল শেয়ারিং করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি:
স্কুল কলেজে যে রকম পড়ে এসেছেন যে, রসায়ন বিদ্যা বা পদার্থ বিদ্যা এর কোন পরীক্ষা করার সময় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দরকার হয়। তেমনি এই পোষ্টটি যদি কার্যকরণ করতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত যন্ত্রপাতি দরকার হবে।
১. দুইটি কম্পিউটার – হতে পারে তা দুটি ডেক্সটপ / দুটি ল্যাপটপ / একটি ল্যাপটপ এবং একটি ডেক্সটপ ।
২. একটি ইথারনেট ক্রসওভার কেবল: ক্রস ওভার ক্যাবল, দুটি পিসি কে হাব, সুইচ বা রাউটার ব্যতিত সরাসরি সংযোগ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। একটু খেয়াল করুন, সাধারনত ইথারনেট ক্যাবল গুলোর (যাকে আমরা ল্যান ক্যাবল ও বলে থাকি) দুটি মাথায়, তার গুলো একই ভাবে সাজানো থাকে অর্থাৎ তাদের দুটি মাথায়ই তারের রং গুলি মিল থাকে। নিচের ছবিতে দেখানো তারের নম্বর এর দিকে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন।
কিন্তু ক্রসওভার কেবলে সর্বমোট তার থাকবে চারটি যার প্রথম এবং তৃতীয় তার ( বা দিক হতে ডানদিকে গুনে ) এবং দ্বিতীয় এবং ষষ্ঠ নং তার ক্রস করা থাকে। অর্থাৎ এর এক মাথার প্রথম তার অপর মাথার তৃতীয় তারে সংযুক্তি হবে এবং অপর মাথার প্রথম তার এই মাথার তৃতীয় তারের সাথে সংযুক্তি হবে। ছবিটি খেয়াল করুন । নম্বর দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দেখাতে চেষ্টা করেছি।
কোথায় পাবেন: যেকোন কম্পিউটার এর দোকানে গিয়ে বলবেন যে, আমাকে এক বা দু মিটার ক্রসওভার ইথারনেট ক্যাবল দিন বা বানিয়ে দিন যাতে আমি দুটি পিসির মধ্যে কোন সুইচ, হাব বা রাউটার বাদেই ডাটা শেয়ার করতে পারি। তারা সেই ক্যাবল বানিয়ে দিলে, আপনি হাতে নিয়ে তারের লেআউট দেখলেই বুঝতে পারবেন, যা আমি উপরে ছবি সহ বলেছি। দারুন তাই না !
৩. নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার: দুটি পিসিতেই নেটওয়ার্ক এ্যাডাপ্টার থাকতে হবে। বর্তমানের কম্পিউটার গুলোর মাদারবোর্ডে বিল্টইন নেটওয়ার্ক কার্ড থাকে। তাই যাদের আছে তাদের আর আলাদা নেটওয়ার্ক কার্ড কিনতে হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাদারবোর্ডের সিডি বা নেটওয়ার্ক কার্ডের ড্রাইভার পিসিতে সঠিক ভাবে ইন্সটল করা থাকে।
কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন:
এটি একটি বড় পোষ্ট। আমি বিস্তারিত ভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। যাতে যেকেহ আমার পোষ্ট পড়ে খুব সহজেই বিষয়গুলো বুঝতে পারে। আপনার হতে যদি পড়ার মত প্রয়োজনীয় সময় না থাকে, তাহলে পরে, সময় নিয়ে পড়ুন।
আবার পোষ্ট এর বিষয়ে ফিরে আসি। কিভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবেন এটাই হলো আসল কাজ। শুনতে সহজ মনে হলেও দুটি পিসিতে এই সংযোগ তৈরী করা কিন্তু এত সহজ নয়। এর জন্য দুটি পিসিতেই আইপি কনফিগারেশনের একটা ব্যাপার আছে। তো চলুন দেখি নিচের পদ্ধতি অনুসরন করে, কিভাবে দুটি পিসি একে অপরের সাথে কথা বলাতে পারবো….
১. দুটি পিসির ইথারনেট পোর্টে ক্রসওভার ক্যাবল এর এক মাথা করে প্লাগইন করার মাধ্যমে সংযুক্ত করুন। ছবি দেখুন:
প্রথম কম্পিউটার
দ্বিতীয় কম্পিউটার
২. এখন দুটি পিসির নেটওয়ার্ক সেটআপ করবো। এক্সপিতে Start > Connect to > Show all connection এ গিয়ে Local area connection এ মাউস এর রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ যান।
এখন Internet protocol (TCP/IP) তে ডাবল ক্লিক করুন। এর প্রোপার্টিজ আসবে। General ট্যাবের অন্তর্ভুক্ত Use the following IP address: এ ক্লিক করুন। তারপর IP address এর যায়গায় 192.168.1.1 ( 192.168.1.2 দ্বিতীয় পিসির জন্য ) লিখুন। এখন Subnet mask এর ঘরে 25.255.255.0 ( দুটি পিসির জন্য একই ) বসান। এরপর Default gateway এর ঘরে অপর পিসির আইপি এড্রেস বসান। এর পর Ok প্রেস করুন।
উইন্ডোস সেভেনে আইপি এড্রেস পরিবর্তন করার জন্য ক্লিক করুন Start->Connect to->View network computers and devices->Network and sharing center. Select Manage Network Connections, press properties button under Local Area Connection. Select Internet Protocol version4(TCP/Ip4) and press properties button. এখন The internet Protocol (TCP/IP) এর প্রোপার্টিজ এর ডায়ালগ বক্স আসবে। সেখানে উপরের দেখানো এক্সপি এর নিয়মে আইপি এড্রেস লিখুন। ছবি দেখুন:
একটু সহজ করে দেই । প্রথম পিসির আইপি এড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.1
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.2 (এটা ২য় কম্পিউটারের IP Address)
দ্বিতীয় পিসির আইপি এ্যাড্রেস নিম্নরুপ:
IP address: 192.168.1.2
Subnet mask: 255.255.255.0
Default gateway: 192.168.1.1 (এটা প্রথম কম্পিউটারের IP Address)
৩. এখন লোকাল নেটওয়ার্কের জন্য একটি ওয়ার্ক গ্রুপ তৈরী করবো। my computer এ মাউসের রাইট ক্লিক করুন। এখন properties সিলেক্ট করুন। দেখুন সেখানে Computer Name নামে একটি ট্যাব আছে। সেখান হতে কম্পিউটারের নাম ও ওয়ার্কগ্রুপের নাম পরিবর্তন করুন। ( নোট: কম্পিউটারের নাম দুই পিসির জন্য আলাদা আলাদা দিতে হবে কিন্তু ওয়ার্কগ্রুপের নাম দুটি পিসিতেই একদম একই দিতে হবে । )
৪. Ok প্রেস করুন এবং দুটি পিসিই রিস্টার্ট দিন।
No comments:
Post a Comment